সব
Exif_JPEG_420
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাবৃত্তি, কোটা ও চাকরি ক্ষেত্রে বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাথে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা। ৬ই মার্চ ২০২৩ ইং সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপ্#ি৩৯;র) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান মজিব, বিশেষ অতিথি ছিলেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো: আলমগীর কবির, রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, সহ- সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ব্যবসায়ী নেতা মো: কামাল উদ্দিন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্ধসঢ়;বায়ক মো: শহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব রাজু আহম্মেদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে উলেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, ব্যবসা- বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী গুলো থেকেও পিছিয়ে পড়া এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের চেয়েও বেশী হয়েও তা পাচ্ছে না বাঙালিরা। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মধ্যে শুধুমাত্র চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর ২৭% আর সারাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর থেকে ১% এর কম হয়েও চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৪% আর সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৩%। তাহলে চাকমারা সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হারের চাইতেও তারা এগিয়ে গিয়েছে শুধু মাত্র কোটা সুবিধার কারণে।
বক্তরা বলেন, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।
মন্তব্য