সব
তেঁতুলিয়ায় শুরু হল টিউলিপ ফুলের চাষ। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ইএসডিও’র প্রধান নির্বাহী শহীদুজ্জামান ও পরিচালক প্রশাসন সেলিনা জামান ভিডিও কলের মাধ্যমে চাষীদের সাথে সরাসরি কথা বলে টিউলিপ কন্দোল বীজ রোপনের শুভ উদ্বোধন করেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় বারের মত চাষ হতে যাচ্ছে ব্যাপক আলোচিত ফুল টিউলিপ। মূলত শীতপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় এ অঞ্চলে টিউলিপের চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছর সল্প পরিসরে এই গ্রামের ৮ জন মহিলা কৃষাণিকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে টিউলিপ চাষে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
টিউলিপ বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর বড় পরিসের প্রায় ২০ জন কৃষক ও কৃষাণির উদ্যোগে ২ একর জমিতে টিউলিপ চাষ শুরু করলো উদ্যোক্তারা।
টিউলিপ চাষী নারী উদ্যোক্তা মানোয়ারা বেগম বলেন, আমরা গত বছর অল্প জায়গায় টিউলিপ চাষ করে লাভবান হয়েছি। তাই এ বছর আরও ১২ জন কৃষক আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা আশা করি এ বছর আমরা আবারও লাভবান হব।
আয়েশা বেগম বলেন, আমরা আগে চা বাগানে কাজ করতাম। গত বছর দেখেছি টিউলিপ ফুল দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেছে তেঁতুলিয়ায়। গত বছরে টিউলিপ চাষীরা লাভবান হয়েছিল এই সম্ভাবনায় আমিও চাষ শুরু করেছি। আশা করি লাভবান হব।
জয়নাল আবেদিন ( টিউলিপ চাষী) বলেন, আমরা এবার পর্যটকদের জন্য, টবের ব্যাবস্থা রেখেছি। টিউলিপ প্রেমীরা টবে করে টিউলিপ চারা কিনতে পারবে। এছাড়াও আগত দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য অস্থায়ী খাবার হোটেলের ব্যাবস্থাও থাকছে। খাবারের মেনুতে থাকবে তেঁতুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী সব খাবার।
ইএসডিও’র কর্ডিনেটর আইনুল হক বলেন, গত বছরের ব্যাপক সাফল্যের ফলে এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে চাষ হচ্ছে টিউলিপ। পর্যটনের পাশাপাশি মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে টিউলিপ বিরাট ভুমিকা রাখবে।
মন্তব্য