সব
শ্রীপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবককে বেধড়ক মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর ২.৩০ ঘটিকার সময় উপজেলা কেওয়া দক্ষিণ খন্ড মাহফুজুল হক রানার বাড়ীর পাশে রুপচাঁন মিয়ার মুদির দোকানের সামনে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই যুবকের ছোট ভাই মুনছুল হক(২৬) বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
আহত ওই যুবকের নাম মোঃ মাহফুজুল হক রানা (২৯)। তিনি শ্রীপুর উপজেলা কেওয়া দক্ষিণ খন্ড এলাকার শামসুল হকের ছেলে। আহত মাহফুজুল হক রানা বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কেওয়া দক্ষিণ খন্ড এলাকার বিবাদী সোহাগ মিয়া (৩০),নূরুল হক(৫৫) ও শাহনাজ এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল বাদী মাহফুজুল হক রানার। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২.৩০ ঘটিকার সময় উপজেলা কেওয়া দক্ষিণ খন্ড মাহফুজুল হক রানার বাড়ীর পাশে রুপচাঁনের মুদির দোকানে রানাকে একা বসা অবস্থায় পেয়ে বিবাদী সোহাগ মিয়া,নূরুল হক ও শাহনাজ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন এলোপাথারি মারধর শুরু করে। এসময় বিবাদীগণ আমার বড়ো ভাই মাহফুজুল হক রানাকে টেনেহিঁচড়ে রড, লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এসময় রানাকে বাঁচাতে তারেক, হাফিজুল, শাহজাহান, মাফিজুল ও রাবেয়া এগিয়ে আসলে তাঁদের উপরও চড়াও হয় তারা।এসময় রুপচাঁন মিয়ার মুদির দোকান ভাংচুর করে ও নগদ ৭০,০০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। রানার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে মাহফুজুল হক রানাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য